সেন্টমার্টিন একটি দ্বীপের নাম

লিখেছেন লিখেছেন শেখ সাদী ০৯ মার্চ, ২০১৩, ০৪:০৯:৫২ বিকাল

১২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দ্বীপ সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ ্ এটি বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্হিত ্এর অন্য নাম নারিকেল জিন্জিরা্ এর সাথে রয়েছে ছেড়াদ্বীপ ্চলো ঘুরে আসি সেন্টমার্টিন দ্বীপে ্



নাপ নদী্ ্ বাংলাদেশের ও মায়ানমারের সীমান্তবর্তী নদী ্ এর একপাশে বাংলাদেশ অপর পাশে মায়ানমার ্ সেন্টমার্টিন যেতে হলে টেকনাফ গিয়ে নাফ নদীর তীরবতী জেটি থেকে জাহাজে উঠতে হয় ্



অনেক যাত্রী নিয়ে জাহাজ নাফ নদীর মধ্য দিয়ে সেন্টমার্টিনে রওনা দিয়েছে ্ এসময় বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকাদেখা যাবে ্







চেনা-অচেনা ,জানা- অজানা অনেক পাখি আনন্দ, মজা, বিনোদনরে সঙ্গী হবে ্ যেন পাখি গুলো সবার বন্ধু ্



পাখিদের চিপছ ছুড়ে দিলে পানিতে পড়ার আগে কেচ ধরার মত মুখে নিয়ে নয়ে ্ পড়ে গেলে পানি থেকে তুলে নেয় ্ আবার ৪/৫ টি পাখি একটি চিপছ ধরার জন্য একত্রে জড়ো হয়ে যায় ্ পাখিরাও চিপছ খায় !!!! পাখি গুলো জাহাজের পিছনে পিছনে অনেক দূর পর্যন্ত আসতে থাকে ্



পাখিদের সাথে মজা করতে করতে জাহাজ অনেক দূরে চলে আসবে ্ এসময় বাংলাদেশকে একটি দ্বীপের মত মনে হবে ্ অন্য পাশে মায়ানমারকে দেখা যাবে ্











জাহাজ যথন সাগরের মোহনায় তখন দূরে কাছে দু'চারটি অন্য জাহাজ দেখা যায় ্ জাহাজের ছাদে পতাকা লাগানো থাকে ্





নিজের জাহাজটি ধীরে ধীরে দূরে আরও বহুদূরে নিল ধরিয়ায চলে যাবে ্ চারদিকে দেখা যাবে শুধু নিল পানি আর পানি ্ বহুদূরে কিছুই দেখা যাবে না ্







মাঝে মাঝে বাংলাদেশর পতাকাবাহী স্প্রীডবোট দেখা যায় ্ এরা খুবদূত অনেক দূরে চলে যায় ্ তবে এই স্প্রীডবোটটির উদ্দেশ্য ভিন্ন ্





যখন দু'চোখে চারদিকে কিছুই দেখা যাচ্ছে না ্ সাগরের মাঝে জাহাজ চলছে ্ স্প্রীডবোটটি জাহাজের পিছনের দিকে সাইড দিয়ে মিশে যায় ্ যখন স্প্রীডবোটটি আসে মাত্র দু'জন লোক ছিল ্ পরে ক্যাপ পরা একটি মেয়ে একটি শিশু সহ কয়েকজন যুবক ছেলে স্প্রীডবোটটিতে উঠে ্ তখন স্প্রীডবোট ও জাহাজ চলছিল ্ ছোট্র একটি উত্তেজনা ্ জাহাজের অনেক যাত্রী এটি দেখছিল ্ এমন অনেক উত্তেজনাকর আনন্দময় ছবি তোলা যবে ্









স্প্রীডবোটি জাহাজটি ছেড়ে চলে যাচ্ছে ্ তবে স্প্রীডবোটির যাত্রীরা জাহাজের যাত্রীদের বিদায় জানাতে ভুলে যায়নি ্







সেন্টমার্টিন পৌঁছে নিজের গন্তব্য স্থানে যেতে তিন চাকা ওয়ালা ছাদ বিশিষ্ট ভ্যান পাওয়া যায় ্ ভ্যান চলার জন্য রয়েছে পাকা রাস্তা ্





রাত্রে খাকার জন্য রয়েছে হোটেল ও কটেজ ্ কটেজ গুলো প্রাকৃতিক উপকরনে প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরী ্ কটেজের উঠানে রয়েছে খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা ্









এমন ছোট বড় অনেক ঢেউ দ্বীপে এসে আছেড়ে পড়ে ্ রাত্রে এই ঢেউ গুলো অন্য রকম লোগে ্



দ্বীপের কাছে দূরে রয়েছে মাছ ধরার ট্রলার ্ মাঝে মাঝে মন চাইবে টৃলার দিয়ে অনেক দূরে যেতে পারতাম ্ পরক্ষণে বিশাল সাগর দেখে মনের ইচ্ছাটা মন্ই রয়ে যাবে ্





দ্বীপের তীরে রয়েছে নারিকেল ,ডাব ্ নারিকেল দ্বীপে এসে নারিকেল ডাব তো খেতেই হবে ্





শুধু কিশোর কিশোর নয় যুবক যুবতী নয় মধ্য বয়সী আন্টিরাও আসেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে ্









রয়েছে হরেক রকমের সামুদ্রিক মাছের শুটকি ্ স্থানীয় মানুষজন শুটকির ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করে ্







স্থানীয় বচ্চারা হরেক রকম সামুদ্রিক জিনিস পত্র বিক্রি করে ্ বাচ্চাগুলো খুব সহজ সরল ্



সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্থানীয় কোন যুবতীদের দেখা যায় না ্ শিশু মেয়েদের দেখা যায় ্ এরা তাদের ছবি তোলতে দেয় না ্



শিশু মেয়েটির ছবি তোলার সময় মেয়েটি উত্তিজিত ্ ছবি না তোলার জন্য তেড়ে আসে ্





সেন্টমার্টিন দ্বীপে রয়েছে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের সমুদ্র রিলাস বাড়ীটি ্















সেন্টমার্টিন দ্বীপের পাশেই রয়েছে ছেঁড়াদ্বীপ ্ সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটে যাওয়া যায় ্











ছেঁড়াদ্বীপে রয়েছে সামুদ্রিক চিংড়ি মাছ, কাঁকড়া যে কেহ এ গুলো কিনতে পারে ্ এমনকি ভাজা চিংড়ি, কাঁকড়া পাওয়া যায় ্





দিনের আলো চলে যায় ্ রাত ফিরে আসে ্ তারপর আনন্দময় কয়েকটি দিনের পর আপন ঘরে ফিরে যেতে হয় ্ বেঁচে থাকলে সেন্টমার্টিন আবার আসবো ্

বিষয়: বিবিধ

৩১৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File